নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় নির্যাতনের পর গৃহকর্মী সুমীকে বাথরুমে আটক রাখার অভিযোগে গৃহকত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে শিশু সুমিকে উদ্ধারের পর এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকত্রীকে ফারহানা ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশিকুর রহমান নামের এক প্রতিবেশী বাদী হয়ে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ফারহানা আলমকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার রাতে সুমির চিৎকার শুনে পুলিশে খবর দেয়। রাতে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি করা হয়। তার চোখ-মুখসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়ায় এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের বাসায় কয়েক বছর ধরে কাজ করছে সুমী। তবে প্রায়ই তার উপর নির্যাতন চালান এই দম্পতি। মঙ্গলবার নির্যাতন শেষে বাথরুমে আটকে রেখে বাইরে যান তারা। তখন সুমী চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায়ই ওই বাসা থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ সময় ধরে কান্নার শব্দ শুনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতের আইনজীবী ফাহমিদা জেবিন আহমেদ বলেন, শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে না। এ সব মামলায় অনেক সময় আদালতে সাক্ষীদের অনিয়মিত উপস্থিতির প্রবণতা ও অপরাধী প্রভাবশালী হওয়ায় বিচারকার্যে ধীরগতি দেখা দেয়।
এ ছাড়া পুলিশের কিছু অসাধু তদন্ত কর্মকর্তার কারণে মামলায় দীর্ঘ সময় লাগে। এতে অপরাধীরা পার পেয়ে যান। শিশু নির্যাতন রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কুমিল্লায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে লাকসাম থেকে গৃহকত্রী ফারহানা ইসলামকে আটক করে থানায় আনা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page